ঈদকে সামনে রেখে মেহেরপুরে কামারশালায় ব্যস্ততা বেড়েছে

ঈদকে সামনে রেখে মেহেরপুরে কামারশালায় ব্যস্ততা বেড়েছে,ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মেহেরপুরে কামারশালায় ব্যস্ততা বেড়েছে।

 

ঈদকে সামনে রেখে মেহেরপুরে কামারশালায় ব্যস্ততা বেড়েছে

 

ঈদকে সামনে রেখে মেহেরপুরে কামারশালায় ব্যস্ততা বেড়েছে

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠছে কামারশালাগুলো। সারাদিন লোহা আর ইস্পাতের মিশ্রনে তপ্ত হাপরের বাতাসে কয়লার আগুনে গলিয়ে চলছে, দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরির কাজ। দম ফেলারও ফুসরত নেই কামারদের।
সরেজমিনে কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, হাতুড়ি পেটানো হচ্ছে আগুনে নরম করা লোহা।

পাশেই সহকারীরা দা ও ছুরিতে দিচ্ছেন শান। কেউবা হাঁপর টেনে বাতাস দিচ্ছেন।
জেলা শহরের কাশ্যবপাড়ার কামার সুনিল জানান, কেউ দা, ছুরি, চাকু ও বঁটি নতুনভাবে বানাতে অর্ডার দিয়েছেন। কেউবা পুরাতনগুলো পুড়িয়ে শান দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, এ বছর প্রতি পিস চাকু ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, দা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, ৬০০ টাকা কেজি দরে চাপাতি, জবাই ছুরি ৮’শ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন কামাররা।

এছাড়াও পুরনো সব যন্ত্রপাতি শান দিতে গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। সারাবছর তেমন কাজ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পৈতৃক এই পেশা পরিবর্তন করছেন বলে জানা গেছে।
কামার নবীন সরকার বলেন, সারাবছর আমাদের মোটামুটি কাজ হয়। তবে কোরবানি ঈদে বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। এই সময় ভালোই আয় হয়।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

শীলা নোড়া কোটানোর কারিগর রহমত আলী জানান, এখন আর  গ্রামের বউঝিরা শীল নোড়া বাড়িতে ব্যবহার করেননা। প্যাকেটজাত মশলা ক্রয় করে ব্যবহার করেন। এই কারণে তাদের পেশা আর তেমন চলেনা। ঈদকে সামনে রেখে পুরনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগান।

এই একমাসে  মোটামুটি ভাল উপার্জন হয় বলে জানান তিনি।
মেহেরপুর শহরের বোষপাড়ার গৃহবধু রিনা খাতুন বলেন, বাজারের প্যাকেটজাত মসলার চেয়ে বাড়িতে তৈরি মসলার স্বাদ অনেক বেশি। তাই তিনি জিরা, মসলা, আদা শীল নোড়াতেই পিশে থাকেন।মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামের ছুরি ক্রেতা মুকুল হোসেন জানান, গত বছর যেই ছুরি ৫০০ টাকা ছিল। এবছর তা ৭শ’ থেকে ৮’শ টাকা।

 

ঈদকে সামনে রেখে মেহেরপুরে কামারশালায় ব্যস্ততা বেড়েছে

 

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment