Site icon মেহেরপুর জিলাইভ | truth alone triumphs

মেহেরপুরে ইউপি মেম্বার হত্যা মামলায় বাবা ছেলের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

মেহেরপুরে ইউপি মেম্বার হত্যা মামলায় বাবা ছেলের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) কামাল হোসেন হত্যা মামলার রায়ে আলমগীর হোসেন ও আব্দুল মালেক নামের দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। সেই সাথে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

 

 

মেহেরপুরে ইউপি মেম্বার হত্যা মামলায় বাবা ছেলের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

 

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। এবং আব্দুল মালেক একই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ২৫ মে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন ষোলটাকা গ্রামের কফিল উদ্দীনের বাড়িতে প্রবেশ করে আব্দুল মালেকের হুকুমে রাফাতুল ইসলামকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনা শুনে তৎকালীন ইউপি সদস্য রাফাতুল ইসলামের ভাতিজা কামাল হোসেন স্থানীয় জোড়পুকুরিয়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ২৫ মে,সকাল ১০টার দিকে কামাল হোসেন আব্দুল মালেকের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছালে আব্দুল মালেকের নির্দেশে কামাল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহত কামালের ভাতিজা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে দঃ বিঃ ৩০২/৩৪ ধারায় আলমগীর হোসেন, আব্দুল মালেক,সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস,আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমির উদ্দীনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৫৩/১৭। জি আর কেস নং- ১৬৯/২০১৭। পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার অপর আসামি সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস,আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ এবং আসামি পক্ষে এ কে এম শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন।

 

আরো পড়ুন :

Exit mobile version