আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মেহেরপুর জেলার হাট-বাজার।
মেহেরপুর জেলার হাট-বাজার:-

| # | শিরোনাম | আয়তন | চান্দিনা ভিটির সংখ্যা | ইজারা মূল্য | ঠিকানা |
|---|---|---|---|---|---|
| ১ | আমঝুপি হাট | ১,৪০,১০৫/- | মেহেরপুর সদর,মেহেরপুর। | ||
| ২ | উজলপুর | ৬,৯০০/- | মেহেরপুর সদর,মেহেরপুর। | ||
| ৩ | কুলবাড়িয়া হাট | ১৯,০০০/- | মেহেরপুর সদর,মেহেরপুর। | ||
| ৪ | জবেহ খানা | ২৬,৬০০/- | গাংনী,মেহেরপুর | ||
| ৫ | পশু হাট | ৪,৫১,০০০/- | গাংনী,মেহেরপুর | ||
| ৬ | পৌর পশু হাট | ৫৫,৫২,০০০/- | |||
| ৭ | বড় বাজার | ৩০,০২,০০০/- | বড়বাজার,মেহেরপুর। | ||
| ৮ | বাড়ীবাঁকা হাট | ১৪৪/- | মেহেরপুর সদর,মেহেরপুর। | ||
| ৯ | বাঁশবাড়ীয়া হাট | ৪০,৫০০/- | গাংনী | ||
| ১০ | বুড়িপোতা হাট | ১৪৬/– | মেহেরপুর সদর,মেহেরপুর। | ||
| ১১ | রাজাপুর হাট | ৩৩/- | মেহেরপুর সদর,মেহেরপুর। | ||
| ১২ | শালিকা হাট | ৪৩০০/- | মেহেরপুর সদর,মেহেরপুর। | ||
| ১৩ | শাহ আলম মার্কেট | ৬৫,০০০/- | মেহেরপুর | ||
| ১৪ | শোলমারী হাট | ২২,৭০০/- | মেহেরপুর সদর,মেহেরপুর। | ||
| ১৫ | শ্যামপুর হাট | ২৬,০০০/- | মেহেরপুর সদর,মেহেরপুর। |

মেহেরপুর নামকরণ সম্পর্কে এ পর্যন্ত দুটি অনুমানসিদ্ধ তথ্য আমরা জানা যায়। একটি হচ্ছে ইসলাম প্রচারক দরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ষোড়শ শতকের অথরা তার কিছুকাল পরে মেহেরপুর নামকরণের সৃষ্টি হয়েছে।এ অঞ্চলে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত হতেই ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু হয়েছিল। বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বারোবাজার, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সহ প্রভৃতি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচার শুরু করেন হযরত খাঁন জাহান আলী (রাঃ)।
পীর খান জাহান আলী গৌড় থেকে ভৈরব নদ পথে মেহেরপুর হয়ে বারোবাজার গিয়ে বাগেরহাট গিয়েছিলেন। তার সাথে সেই সময়ে ৩৬০ জন দরবেশ ও ৬০ হাজার সৈন্য ছিল বলে কথিত আছে। তিনি সমগ্র দক্ষিণাঞ্চরে ইসলামের বিজয় পতাকা উত্তোলন করে জনবসতি ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন।

এ অঞ্চলে ঐ একই সময়েই বেশ কয়েকজন ইসলামের ঝান্ডাবাহক আল্লাহর পরম আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটে। শাহ ভালাই, শাহ আলাই ও এনায়েত উল্লাহর নাম উল্লেখযোগ্য। পুণ্য আত্না ইসলামের ঝান্ডাবাহক দরবেশ মেহের আলী শাহ-এর নামের সাথে সঙ্গতি রেখে মেহেরপুর নামকরণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
যতদূর জানা যায় তাতে মেহের আলী অত্যন্ত প্রভাবশালী খ্যাতিমান আধ্যাত্নিক ব্যক্তি হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। যার ফলে তাঁর নামের প্রাধান্য পেয়ে যায়।মেহেরপুর নামকরণের উৎপত্তি সম্পর্কে দ্বিতীয় দিকটি এখানে উল্লেখ্য, পূর্ববঙ্গ রেলওয়ের বাংলায় ভ্রমণ গ্রন্থে বিখ্যাত বচনকার মিহির ও তাঁর নিজের পুত্রবধু খনা (খনার বচন বিখ্যাত) ভৈরব নদীর তীরস্থ এ অঞ্চলে বাস করতেন। তার নামানুসারে প্রথমে মিহিরপুর এবং পরবর্তীতে অপভ্রংশে মেহেরপুর নামকরণ হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।
আরও পড়ুনঃ
