মেহেরপুর জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মেহেরপুর জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য।

মেহেরপুর জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য:-

 

মেহেরপুর জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য
আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন – মেহেরপুর জেলা

 

২০১১ সনের আদমশুমারী অনুযায়ী মেহেরপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ৬,৫৫,৩৯২ জন (২০১১ সনের আদমশুমারী অনুযায়ী), পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা ৩,২৪,৬৩৪ ও ৩,৩০,৭৫৮ জন, মোট খানার সংখ্যা ১,৬৬,৩০০টি। মুসলিম ৯৭.৭৬%, হিন্দু ১.২০%, খ্রিস্টান ১.০১%, বৌদ্ধ ০.০০২১% অন্যান্য ০.০১৯%। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.০২% ।

মেহেরপুর নামকরণ সম্পর্কে এ পর্যন্ত দুটি অনুমানসিদ্ধ তথ্য আমরা জানা যায়। একটি হচ্ছে ইসলাম প্রচারক দরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ষোড়শ শতকের অথরা তার কিছুকাল পরে মেহেরপুর নামকরণের সৃষ্টি হয়েছে।এ অঞ্চলে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত হতেই ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু হয়েছিল। বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বারোবাজার, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সহ প্রভৃতি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচার শুরু করেন হযরত খাঁন জাহান আলী (রাঃ)।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

পীর খান জাহান আলী গৌড় থেকে ভৈরব নদ পথে মেহেরপুর হয়ে বারোবাজার গিয়ে বাগেরহাট গিয়েছিলেন। তার সাথে সেই সময়ে ৩৬০ জন দরবেশ ও ৬০ হাজার সৈন্য ছিল বলে কথিত আছে। তিনি সমগ্র দক্ষিণাঞ্চরে ইসলামের বিজয় পতাকা উত্তোলন করে জনবসতি ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। এ অঞ্চলে ঐ একই সময়েই বেশ কয়েকজন ইসলামের ঝান্ডাবাহক আল্লাহর পরম আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটে।

শাহ ভালাই, শাহ আলাই ও এনায়েত উল্লাহর নাম উল্লেখযোগ্য। পুণ্য আত্না ইসলামের ঝান্ডাবাহক দরবেশ মেহের আলী শাহ-এর নামের সাথে সঙ্গতি রেখে মেহেরপুর নামকরণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।যতদূর জানা যায় তাতে মেহের আলী অত্যন্ত প্রভাবশালী খ্যাতিমান আধ্যাত্নিক ব্যক্তি হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। যার ফলে তাঁর নামের প্রাধান্য পেয়ে যায়।

 

মেহেরপুর জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য
ভবানন্দপুর মন্দির – মেহেরপুর জেলা

 

মেহেরপুর নামকরণের উৎপত্তি সম্পর্কে দ্বিতীয় দিকটি এখানে উল্লেখ্য, পূর্ববঙ্গ রেলওয়ের বাংলায় ভ্রমণ গ্রন্থে বিখ্যাত বচনকার মিহির ও তাঁর নিজের পুত্রবধু খনা (খনার বচন বিখ্যাত) ভৈরব নদীর তীরস্থ এ অঞ্চলে বাস করতেন। তার নামানুসারে প্রথমে মিহিরপুর এবং পরবর্তীতে অপভ্রংশে মেহেরপুর নামকরণ হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment