আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মেহেরপুর জেলার উপজেলা।
মেহেরপুর জেলার উপজেলা:-
বর্তমানে এ জেলায় ০৩টি উপজেলা, ০৩টি থানা, ০২টি পৌরসভা (১টি ’ক’ শ্রেণীর, ১টি ‘খ’ শ্রেণীর), ১৮টি ইউনিয়ন, ১৯৯টি মৌজা, ২৫৯টি গ্রাম রয়েছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলা
মেহেরপুর সদর উপজেলা বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। মেহেরপুর সদর-উপজেলা উত্তরে গাংনী উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে মুজিবনগর উপজেলা, পূর্বে গাংনী উপজেলা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। মেহেরপুর সদর-উপজেলায় রয়েছে ০৭টি ইউনিয়ন, ৬০টি মৌজা এবং ১০৪টি গ্রাম।
- ইউনিয়নসমূহঃ-কুতুবপুর ইউনিয়ন,বুড়িপোতা ইউনিয়ন, আমঝুপি ইউনিয়ন,শ্যামপুর ইউনিয়ন,আমদহ ইউনিয়ন, পিরোজপুর ইউনিয়ন,বারাদি ইউনিয়ন

মুজিবনগর উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। এই উপজেলার উত্তরে মেহেরপুর সদর-উপজেলা, পূর্বে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা ও মেহেরপুর-সদর উপজেলা, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। ২০০০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এটি উপজেলা হিসাবে যাত্রা শুরু করে।
এই উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন হচ্ছে –
- দারিয়াপুর ইউনিয়ন
- বাগোয়ান ইউনিয়ন, মুজিবনগর
- মহাজনপুর ইউনিয়ন
- মোনখালী ইউনিয়ন
গাংনী উপজেলা
গাংনী বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

গাংনী নামের সাথে যুক্ত হয়ে আছে এ অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশের পরিচয়। গাংনী পদটিই এখানে প্রধান। নদী বা নদীর মৃতপ্রায় ধারাকে এ এলাকার মানুষ গাং বা গাঙ বলে। অনুমান করা হয় যে, গাঙ্গেয় অববাহিকার এ এলাকায় প্রথম বসতি স্থাপনকারী মানুষেরা অন্যদের বসবাসে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ‘এ এলাকায় গাং অর্থাৎ নদী নেই’- এমন ঘোষণা দেয়। ‘গাং নেই’ পরবর্তীকালে হয়ে যায়- ‘গাংনী’। এ এলাকার মানুষেরা নেই বুঝাতে ‘নি’ উচ্চারণ করে। গাংনী নামকরণে ভিন্ন আর একটি যুক্তিও পাওয়া যায়।
পশ্চিমে কাজলা নদী এবং পূর্বে মাথাভাঙ্গা নদীর মধ্যবর্তী দোয়ার অঞ্চলে এ থানার অবস্থান। সেই অর্থে এ নদীর প্রধান উৎস গঙ্গা। গঙ্গার কন্যা মনে করার কারণে খরস্রোতা মাথাভাঙ্গাকে একসময় এ এলাকার মানুষ ‘গাংগীনি’ বলে ডাকত। গাংগীনি থেকে গাঙ্গনী বা গাংনী শব্দের উৎপত্তি। গাংনী নামকরণে মুলত এ অঞ্চলের নদী সম্পৃক্ততার পরিচয় ফুটে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ
