মেহেরপুরে চাল কুমড়া আর কলাইয়ের ডালের বড়ি বানানোর ধুম

চাল কুমড়া আর কলাইয়ের ডালের বড়ি বানানোর ধুম, চাল-কুমড়া আর কলাইয়ের ডালের বড়ি বানাবার ধুম লেগেছে মেহেরপুরের ।

 

মেহেরপুরে চাল কুমড়া আর কলাইয়ের ডালের বড়ি বানানোর ধুম

 

মেহেরপুরে চাল কুমড়া আর কলাইয়ের ডালের বড়ি বানানোর ধুম

কলাইয়ের ডাল আর চাল-কুমড়া দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু বড়ি। এ বড়ি নিয়ে আছে অনেক গল্প, কবিতা। মেহেরপুরের বিভিন্ন বাড়িতে এ শীতের সকালে চলছে বড়ি দেয়া।

একই সাথে পুকুর, নদী, জলাশয়ে কুমড়োর বড়ি দেবার জন্য কলাইয়ের ডাল ধোয়ারও ধুম পড়েছে। বাড়ির বউ শাশুড়ি, মেয়েরা মিলে পুকুর আর নদীতে কলাইয়ের ডাল ধুতে দেখা যায়। কাকডাকা ভোরে বাড়ি বৌ-ঝিরা যেন মেতে উঠেছে কলাইয়ের ডাল আর চাল কুমড়োর বড়ি তৈরি করতে।

শীত কালে বড়ির চাহিদা থাকে বেশি। বড়ি তৈরিতে পরিশ্রম বেশি হলেও লাভও হয় বেশি। আগে সব সময় কলাই পাওয়া গেলেও কুমড়া পাওয়া যেত না।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

কিন্তু এখন বড়ি দেওয়ার জন্য কুমড়াও পাওয়া যায় সব সময়। কারণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এখন কুমড়া চাষ হয়।মেহেরপুর ভৈরব নদে কলাইয়ের ডাল ধুতে এসে রানীা হালদার বলেন- শীত কালে যে বড়ি বানিয়ে রাখি তা সারা বছর খাই। শীতের সকালে বড়ি আর মাছ রান্না থাকলে আর কোন তরকারি লাগে না।

মেহেরপুর শহরের বড় বাজারের চাল-কুমড়ার বড়ি বিক্রতা রাকিবুল ইসলাম বলেন- মেহেরপুরের কুমড়ার বড়ির চাহিদা অনেক। প্রতিদিন তিনি ৩৫ থেকে ৪০ কেজি বড়ি বিক্রি করেন। এক শ্রেণীর বড়ি বিক্রেতা সবজি দিয়ে তৈরি কমদামে বড়ি বিক্রি করার কারণে মেহেরপুরের বড়ির মান কমে যাচ্ছে।মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নাসরিন পারভীন জানান, বড়ি বানাতে চাল-কুমড়ার বিকল্প নাই।

গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাল-কুমড়ার চাষ হচ্ছে। বসতবাড়ির অঙ্গিনায়, অনাবাদি পতিত জমি এবং সাথী ফসল হিসেবে জমিতে চাল কুমড়োর চাষ বাড়ছে। প্রতি বিঘাতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার কুমড়ো বেচা কেনা হবে। যা অনেক লাভজনক। এ কুমড়ো চাষ মাত্র ১শ দিনে হয়।

 

মেহেরপুরে চাল কুমড়া আর কলাইয়ের ডালের বড়ি বানানোর ধুম

 

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment