মেহেরপুরে জামায়াতের নেতাকে হত্যার অভিযোগে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মেহেরপুরে আরেকটি হত্যা মামলা
ঘটনার ৯ বছর পর নিহতের ভাই আব্দুর কাদের (৭৭) বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর আমলী আদালতে মামলাটি করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন।
আব্দুর কাদের রাজনগর গ্রামের আমির শেখের ছেলে ও নিহত রমজান আলীর ভাই। রমজান জেলা জামায়াতে ইসলামীর সুরা সদস্য ছিলেন। আদালতের বিচারক শারমিন আক্তার মামলাটি তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেহেরপুর সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন ছাড়াও মেহেরপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (বর্তমানে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার) মোস্তাফিজুর রহমান, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য্য তরুণ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলামসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন জানান, মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সুরা সদস্য রমজান আলীকে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর বামনপাড়া শ্মশান ঘাট এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
মামলায় অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন- রাজনৈতিক শক্রুতা থেকে মন্ত্রীর নির্দেশে তার ভাই রমজান আলীকে ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায় পুলিশ। পরে ৩০ নভেম্বর শ্মশান ঘাটে নিয়ে গিয়ে বন্ধুকযুদ্ধের নামে গুলি করে তাকে হত্যা করে।
পরে পরিবারকে না জানিয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি করে সুরতহালসহ মর্গে নিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্ত করে। এবং ঐদিনই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ প্রহরায় তৎক্ষণাত মরদেহের দাফন সম্পন্ন করতে বাধ্য করে।
আইনজীবী মারুফ আরও জানান, এতদিন পরও সুরতহাল এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় নিহতের পরিবার মামলা করতে পারেনি বলে বাদি আদালতকে জানিয়েছেন। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর জেলা জামায়াতের যুগ্ন সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তারিককে বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তার ছোট ভাই তাওফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছিল।
আরও পড়ূনঃ